রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও সাড়ে ১০টা নাগাদ অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও কৃষিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে পল্টন এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
তারা বেগম খালেদা জিয়াকে মা সম্বোধন করে নানা স্লোগান দিয়ে নয়াপল্টন এলাকা মুখরিত করে তুলছেন। এর মধ্যে তরুণ কর্মীদের মুখে মুখে ফিরছে একটি স্লোগান-‘বন্দি আছে আমার মা ঘরে ফিরে যাব না।’
জাতীয় প্রেসকাব ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে অবস্থান নেয়ার অনুমতি না পাওয়ার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমি সরকারকে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা দেশনেত্রী বানিয়েছিলাম। আজ আওয়ামী লীগ দেশনেত্রীকে নেলসন ম্যান্ডেলা বানিয়ে দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি হয়। সড়কের একপাশে ফকিরেরপুল থেকে নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত সড়কের একপাশে হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে সমবেত হয়ে ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে আগুন জ্বলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও কৃষিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতাকর্মীরা এতে সমবেত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। বিপুল সংখ্যক মহিলা কর্মী-সমর্থকও এতে অংশ নেন। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যানার হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। নেতাকর্মীরা ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘জেলের তালা ভাঙব, খালেদা জিয়াকে আনব’ ইত্যাদি স্লোগানে নয়াপল্টন এলাকা মুখর করে তোলেন। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এক ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচির সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের এই সংগ্রাম দেশনেত্রীকে মুক্ত করে নিয়ে আনার লড়াই, এই লড়াই আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্ত করার লড়াই। এই লড়াই বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করার লড়াই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লড়াই। আসুন এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা শপথ নেই আগামী দিনে সমস্ত কর্মসূচি সফল করে জনতার উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে এই জেল থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসবোই। আসুন সেই ল্েয আমরা আন্দোলনকে আরো বেগবান করি। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী : আবুল বাশার, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ প্রমুখ। ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম বক্তব্য দেন। : অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, কবীর মুরাদ, জহিরুল ইসলাম শাহজাদা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হারুনুর রশীদ, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, সহ জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সালাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ওমর ফারুক শাফিন, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল হৃদয়, ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, দেলোয়ার হোসেন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি এস. এম জিলানী, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ সভাপতি আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, ইখতিয়ার রহমান কবির, আফরোজা খানম নাছরিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, ওমর ফারুক মুন্না, মেহবুব মাছুম শান্ত, কাজী মোখতার হোসেন, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর ছাত্রদল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান স্বপন, ঢাকা মহানগর উত্তরের দফতর সম্পাদক তানভীর আহমেদ খান ইকরাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদারসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন। : ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তাফা ভুঁইয়া, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। : মানববন্ধন উপলে সকাল থেকে কার্যালয়ের কাছাকাছি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দুদিন বিােভ কর্মসূচির পর শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে তিন দিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে, যার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অবস্থান কর্মসূচি। সোমবার ছিল মানববন্ধন যা জাতীয় প্রেসকাবের সামনে হয়েছে। বুধবার হবে ঢাকাসহ সারাদেশে ৮ ঘণ্টার প্রতীক অনশন কর্মসূচি। : সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হাসিনার পতন অনিবার্য : বেগম জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : বুলবুল : স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী জানান, : রাজশাহী মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন, তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্র উদ্ধারে আপসহীন দেশনেত্রী, অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াকু সৈনিক বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক সাজা প্রদানের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি অফিসের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহ-সম্পাদক এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল গফুর, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজি হেনা ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি জাহান পান্না। অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী, শাহমুখদম থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, শাহমখদুম থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদ, মতিহার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাজদার আলী, রাজপাড়া থানা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদ আলম, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, শাহমখদুম থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বাবু, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু। আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইল হিকল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুজ্জামান টিটু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ জাকির হোসেন রিমন, আখতার হোসেন, রিপন, পরাগ, আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, আনন্দ কুমার, যুবদল নেতা রতন, রাজশাহী মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়িকাবৃন্দ অ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, নুরুন্নাহার বেগম, জরিনা বেগম, মুসলেমা বেলী, রাজী, পুতুল, শিখা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইলিয়াস বিন কাসেম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তজা ফামিমসহ রাজশাহী মহানগর বিএনপির ৩৭টি ওয়ার্ডের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। : সভায় উপস্থিত বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্রকে কারাগারে পাঠিয়ে শেখ হাসিনা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি ছাত্রলীগ ও শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন। দেশকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এই অবৈধ সরকার বলে তারা জানান। এছাড়া ছাত্রলীগের কর্মীরা নারী নির্যাতন, ধর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। তাদের অত্যাচারে শিক্ষার্থীরা ভীত হয়ে পড়েছে। ছাত্রীরা নির্বিঘেœ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। অথচ শেখ হাসিনা এই নামধারী ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং অপকর্ম করিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিচ্ছেন। অথচ এই স্বৈরাচারী অবৈধ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে রাখলেও তার বিচার না হয়ে মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে সাজা প্রদান করেছে। তারা আরো বলেন, ছাত্রদল একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল দল। তারা আন্দোলন শুরু করলে এই ফ্যাসিস্ট সরকার পালানোর পথ পাবে না বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। : গণতন্ত্রের জন্য যে ব্যক্তি আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন এবং দেশের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সেই মানসকন্যাকে জেলে পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জানান। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের ঠাঁই কোনোদিন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। কঠোর আন্দোলন করে নেত্রী কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে বলে তারা জানান। তারা আরো বলেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। এই জনপ্রিয়তা দেখে তাঁকে দীর্ঘমেয়াদি কারাগারে রাখার জন্য নাশকতার মামলায় নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন কোনোদিন মেনে নেবে না। হাসিনার পতন ছাড়া তারা ঘরে ফিরবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেন। তারা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশে ছিলেন না। শেখ হাসিনাও দেশে ছিলেন না। তিনি ছিলেন জয়কে জন্ম দেয়া নিয়ে ব্যস্ত। তারা কিভাবে দেশের মানুষের ভাল বুঝবে। তারা কিভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন করবে। এই স্বৈরাচার, অগণতান্ত্রিক, নির্যাতনকারী, দুর্নীতিবাজ সরকারের পতনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ডাক দেন তারা। সেই সাথে তারা বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এখন আর পিছু হটার কোনো অবকাশ নেই। লড়াই শুরু হয়ে গেছে। হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে এই লড়াই শেষ হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন। যতদিন হাসিনার পতন না হবে ততদিন আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা। সেই সাথে চলতি মাসের ২২ তারিখের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে শেখ হাসিনাকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত করার হুমকি দেন তারা। : প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বুলবুল বলেন, বেগম জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন এই দেশে হতে দেয়া হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে খুনি হাসিনার পতন অনিবার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা আজ ধ্বংসের পথে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একের পর এক বেগম জিয়ার নামে বিভিন্নস্থানে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। মেয়র তাকে মিথ্যাচার থেকে বিরত থেকে নিজেদের দিকে নজর দেয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, এক বাড়িতে নানা ধর্মের লোক। শেখ হাসিনা কোন ধর্ম পালন করেন তা এখন মানুষের মুখে মুখে। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মেয়র বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচনে আসুন। বিএনপিকে লাগবে না ছাত্রদল ও যুবদলই বুঝিয়ে দেবে নির্বাচন কাকে বলে। পুঠিয়া রাজবাড়ী সুন্দর করা হলেও পুরাতন কারাগার সংস্কার না করে তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য এই জরাজীর্ণ কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭৫ সালের ন্যায় গণমানুষের আন্দোলনের চাপে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে এই সরকার। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আর এই আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। তিনি নগরীর ভুবনমোহন পার্কে আজকের অনশন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়ার জন্য নেতাকর্মীসহ আপামর জনসাধারণকে আহবান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। : বিএনপি নেতা মিলন বলেন, শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাত্মতা ঘোষণা করেছে। নেতাকর্মীরা আসার পূর্বেই পুলিশ বাহিনী এসে হাজির হয়। কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা নেতাকর্মীদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকেন বলে তিনি জানান। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে এবং শেখ হাসিনা সরকারে পতনের জন্য একদফা এক দাবি ঘোষণা করেন মিলন। তিনি গণতন্ত্র হত্যাকারী অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে এই অপকমর্রে জন্য ধিক্কার দেন। হাজার হাজার কোটি টাকা শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রী, এমপি এবং তার কুলাঙ্গার পুত্র জয় লোপাট ও দুর্নীতি করে বিদেশি ব্যাংকে জমা করলেও এর কোনো বিচার হচ্ছে না। ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডারা অস্ত্র নিয়ে বিরোধী দলকে দমনে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সময় ঘনিয়ে আসছে। বিএনপির আন্দোলনে কেউ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে তিনি হঁশিয়ারি দেন। অনির্বাচিত এই সরকার নির্বাচনকে ভয় পায় বলে বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে এই অগণতান্ত্রিক সরকার। কিন্তু সেই আমল আর নেই। বাংলার মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আজকের অনশন কর্মসূচি সফলভাবে পালন করার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। : : :